Posts

এপ্রিল ফুল বা বোকা এবং গ্রানাডা পতন

প্রায় প্রতি বছর পহেলা এপ্রিল নিম্নলিখিত ঘটনার কিছু সংস্করণ ইন্টারনেটে মুসলিমদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।  এপ্রিল বোকা আমাদের অধিকাংশই প্রতিবছর এপ্রিল ফুল ডে পালন করে। কিন্তু আমাদের মধ্যে কতজন তার পেছনে লুকিয়ে থাকা তিক্ত ঘটনাগুলো জানে। প্রায় হাজার বছর আগে স্পেন মুসলিমরা শাসন করত। আর স্পেনের মুসলিম শক্তি এত শক্তিশালী ছিল যে মনে করা হতো যে স্পেন থেকে মুসলিমদের কতৃর্ত শেষ করা যাবে না। পশ্চিমের খ্রিস্টানরা বিশ্বের সব অংশ থেকে ইসলামকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল এবং তারা বেশ কিছুটা সফল হয়েছিল। কিন্তু যখন তারা স্পেনের ইসলামকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে তখন তারা ব্যর্থ হয়। বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও সফল হয়নি। কাফেররা তখন সেখানে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য স্পেনের গুপ্তচরদের পাঠিয়েছিল এবং তারা যা বের করতে পারল সেটা হচ্ছে স্পেনের মুসলিমদের তাকওয়া বা খোদা ভীতি।তারা দেখল স্পেনের মুসলিমরা শুধু মুসলমানই নয় বরং তারা ইসলামের অনুশাসন মেনে চলে তাছাড়া তারা শুধু কুরআনই পড়েনা বরং কুরঅানের বিধি অনুসারে জীবন গঠন করে । যখন খ্রিস্টানরা মুসলমানদের তাকওয়ার শক্তি  সম্পর্কে জানতে পারল তখন তারা এই শক্তিটি ভাঙার কৌশলগুলি নিয়ে ভাবতে শ

ওয়াহাবী মতবাদ বিস্তারে আমেরিকার হাত থাকার কথা স্বীকার করলো সৌদি যুবরাজ

সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন: আমেরিকার আহ্বানে সাড়া দিয়ে রিয়াদ বিশ্বব্যাপী উগ্র ওয়াহাবী মতবাদ বিস্তারের কাজ করছে। শীতল যুদ্ধকালীন সময়ের প্রাচ্য ব্লককে মোকাবেলা করা ছিলো ওয়াহাবী মতবাদ বিস্তারের উদ্দেশ্য। সৌদি যুবরাজ বিশ্বব্যাপী ওয়াহাবী মতবাদ বিস্তারে তার দেশের অর্থ সহায়তার কথা স্বীকার করে বলেছেন: সে দেশে তৎপর বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে মূলত: এসব অর্থের যোগান আসে। আসলে উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর চিন্তা-চেতনার উৎস হচ্ছে ধর্মের নামে সৃষ্ট বিকৃত ওয়াহাবী মতবাদ। এ মতবাদ মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার প্রেরণা হয়ে উঠেছে এবং এর পেছনে রয়েছে সৌদি আরবের ভূমিকা। মুসলিম দেশগুলোতে উত্তেজনা, আতঙ্ক ও সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি এবং মুসলিম দেশগুলোকে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো ওয়াহাবী মতবাদের প্রধান উদ্দেশ্য। উগ্র ওয়াহাবীরা মুসলমানদের সব মাজহাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এবং একমাত্র তারা ছাড়া অন্য সব মুসলমানকে বাতিলযোগ্য, এমনকি কাফের বলে মনে করে। ওয়াহাবীরা যেহেতু কোনো ভৌগোলিক সীমা-রেখা মানে না, তাই তার

মৃত্যুকে নিয়ে উপহাস এবং আমাদের যুব সমাজ

আফসোস!!!! আজকে আমাদের মুসলমানিত্ব কোথায়? ধর্মে যেখানে মৃত্যুকে দৈনিক বারবার স্মরণ করার কথা বলা হয়েছে এবং মালাকুল মউত যেখানে দৈনিক ৫ বার মৃত্যুর বার্তা নিয়ে প্রত্যেক ঘরে হাজির হয় সেখানে আমরা মৃত্যুকে ঠাট্টায় পরিণত করে ফেলছি।যেখানে নবী রাসুল এবং আউলিয়া কেরামগণ মৃত্যু ভয়ে কান্নাকাটি করত সেখানে আমরা ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টা নিয়ে রং তামাশায় মেতে আছি।আজকে আমাদের মুসলমান যুবাদের এই অধঃপতন দেখে চোখ না মুছে পারলামনা।
আমাদের ইতিহাস মানে ইসলামের ইতিহাস একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস।